শোলাকিয়া ১৮৮তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহে। ১৮৮তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। লাখো মুসল্লিদের অংশগ্রহণে শনিবার সকাল ১০টায় এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এই নামাজের জামাতে ইমামতি করেন বিশিষ্ট এনজিও ব্যক্তিত্ব ও ইসলাহুল মুসলিমিনের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
নির্বিঘ্নে জামাত অনুষ্ঠানে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মাঠের বিভিন্ন প্রবেশ পথে বসানো হয় ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা। এ ছাড়া মাঠের প্রতিটি প্রবেশ পথে র্যাব-পুলিশের নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়।
নামাজ শুরুর আগে পুরো মাঠ মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হয়। পুরো ময়দান ও আশপাশের এলাকা ঘিরে একাধিক পর্যবেক্ষণ টাওয়ার স্থাপন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়।
শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের অবস্থান কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পূর্ব প্রান্তে নরসুন্দা নদের তীরে। ১৮২৮ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতের ইমামতি করেন সুফি সৈয়দ আহমদ।
বিশাল এই জামাত শুরুর পাঁচ মিনিট আগে বন্দুকের তিনটি গুলি ফুটিয়ে সতর্ক করা হয়। এরপর তিন মিনিট আগে দুটি ও নামাজ শুরুর এক মিনিট আগে একটি গুলি ফাটানোর পরপরই নামাজের নিয়ত করা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই এই রীতি চলে আসছে।
চারপাশে প্রাচীর ঘেরা শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে মোট ২৬৫টি কাতার রয়েছে। যেখানে একসঙ্গে দুই লক্ষাধিক মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। এ ছাড়া মাঠে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ঈদগাহ সংলগ্ন খালি জায়গা, রাস্তা ও নিকটবর্তী এলাকায় দাঁড়িয়ে সমসংখ্যক মুসল্লি ঈদ জামাতে অংশ নিতে পারেন।
ঈদের দিন ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে ময়মনসিংহ থেকে একটি ট্রেন ছেড়ে কিশোরগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছায় সকাল সাড়ে ৮টায়। এ ছাড়া ভৈরব থেকে ভোর ৬টায় ছেড়ে কিশোরগঞ্জ স্টেশনে আসে সকাল ৮টায়।
দুটি ট্রেন দুপুর ১২টার দিকে ছেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জ স্টেশন মাস্টার জয়ন্ত কুমার সাহা।
প্রতিক্ষণ/এডি/সজল